বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:৫৯

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

ভোলায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

dynamic-sidebar

আকতারুল ইসলাম আকাশ॥ ভোলা সদর উপজেলার ০৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ডে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পিছিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

নিহত গৃহ বধূর নাম মোসাঃ নাছিমা বেগম (৩২)। স্বামী মোঃ ইসমাঈল হোসেন। পিতা মোঃ নান্নু মুন্সি, মাতা মোসাঃ কয়নুর বেগম। তাদের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। পরিবার বলছে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ডের মোঃ খোরশেদ মিস্তিরির ছেলে মোঃ ইসমাঈলের সাথে ১৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ঘরে তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহত নাছিমা মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলেন। প্রায় সময়ই মাঝে মধ্যে সে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেত। যাঁর ফলে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহত নাছিমার স্বামী মোঃ ইসমাঈল হোসেন বলেন, আমি আশা সমিতি অফিসে বাবুর্চির কাজ করি। সকালে খাওয়া দাওয়া করে আমি অফিসে চলে যাই। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে আমার কাছে খবর যায় আমার স্ত্রী আত্নহত্যা করেছে। মানসিক ভারসাম্যহীন কারণে সে আত্নহত্যা করেছে।

নিহত নাছিমার মা কয়নুর বেগম বলেন, আমার জামাই সকালে কাজ করতে আশা অফিসে যায়। আমার বড় নাতিন সকাল ১০টার দিকে স্কুলে যায়। বাকি দুই নাতিন দুপুরে দিকে আমার ঘরে আসে। পরে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে আমি নাতিন দুইটাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ।

পরে দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি মেয়ে গলায় ওড়না পিছিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকেরা এসে গলার ওড়না কেটে তাকে মাটিতে নামায়। আমার মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) টাইপের ছিলো। যাঁর কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।

ইউপি সদস্য মোঃ ইব্রাহীম জানান, নাছিমা মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলেন। তিন মাস আগেও সে অন্য এক জায়গায় চলে গিয়েছে।

ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন কুমার শীল জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কিছু নমুনা পাওয়া গেছে। সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। নিহতের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net